Tormuj chas bangla | তরমুজ ও খরমুজ

তরমুজ ও খরমুজ

জমি নির্বাচন–জল নিকাশী ব্যবস্থাযুক্ত এবং ভালো বায়ু চলাচল করতে পারে এমন জমি নির্বাচন করাই শ্রেয়।

বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ – এক নজরে


তরমুজের বীজ বপণের সময়

বীজ বপণের সময়–ফেব্রুয়ারী মার্চ। বীজের হাব–৩০০-৪০ গ্রাম কেজি প্রতি বিঘা। ১মি x ২মি. দূরত্বে মাদা করে মাদাতে ৪টি করে বীজ বোনা হয়।

বীজ বোনা–সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে শসার মত করে বুনতে হবে।

বীজ শোধন – শসার মত।

অন্তরণ দূরত্ব—আধারীয় বীজের ক্ষেত্রে ১,০০০ মি:এবং শংসিত বীজের ক্ষেত্রে ৫০০ মি:। সেচ বৃদ্ধিকালের প্রাথমিক পর্যায়ে লতার উপযুক্ত বাড়-বৃদ্ধির জন্য মাটিতে উপযুক্ত মাত্রায় আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে। এ জন্য পর্যাপ্ত সেচের প্রয়োজন। তবে যখন লতা পূর্ণবয়স্ক হয়ে যায়, তখন অতিরিক্ত আর্দ্রতা গাছের পক্ষে ক্ষতিকারক।

চারা পাতলা করা—মাদায় ২টি গাছ রেখে বাকী গাছ তুলে ফেলতে হবে। সার প্রয়োগ শসার মত।

বাছাইকরণ (Roguing)—রোগাক্রান্ত গাছ, পোকার দ্বারা আক্রান্ত গাছ, অন্য জাতের গাছ, অন্য ধরণের গাছ, আগাছা ইত্যাদি দেখা মাত্রই তুলে ফেলে দিতে হবে। এই কাজ অন্ততঃ ৩ বার করা প্রয়োজন।

শস্যবীজ সংরক্ষণ ও সতেজীকরণের সহজ পদ্ধতি

রোগ-পোকা নিয়ন্ত্রণ– শসার মত।

ফল তোলা ও বীজ সংগ্রহ—লতার সঙ্গে ঠিক যে জায়গায় ফলের বোঁটা লেগে থাকে পরিণত অবস্থায় সেখানে চওড়া ফাটল দেখা দিলে (Full slip stage) বুঝতে হবে ফল ও বীজ পরিপক্ক হয়েছে। এর পর ফল চয়ন করে ছুরি দিয়ে কেটে শাঁস সহযোগে বীজ চেঁছে ফলের ভিতর থেকে বের করা হয়। কোহল সন্ধান বা শুধু জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে বীজ বাছাই করে রোদে শুকানো হয়।

বীজের ফলন—–৩০-৪০ কেজি প্রতি বিঘায়।

স্কোয়াশ, লাউ, কুমড়ো, ঝিঙে, করলা ইত্যাদি সবজির বীজ উৎপাদন পদ্ধতি শশা বা তরমুজের মতোই। শুধুমাত্র ফসল ভেদে বীজের হার, মাদার দুরত্ব, বীজের ফলন ফসল থেকে ফসলে কমবেশী হবে।