জমি নির্বাচন–জল নিকাশী ব্যবস্থা যুক্ত মাটিতে ভালভাবে বায়ু চলাচল করতে পারে এমন জমি নির্বাচন করতে হবে।

  • বীজের হার—২৫০-৪০০ গ্রাম কেজি প্রতি বিঘা।
  • বীজ বপনের সময়—মে-জুন, ফেব্রুয়ারী-মার্চ।
  • বীজ শোধন—প্রতি কেজি বীজে ৫ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি দিয়ে শোধন করতে হবে।
  • বীজ বপণের দূরত্ব—সারি থেকে সারি : ২মি:, বীজ থেকে বীজ (মাদা) : ৬০-৯০ সেমি.।

সারের মাত্রা—বিঘা প্রতি ৪ কেজি নাইট্রোজেন, ২ কেজি ফসফেট ও ২ কেজি পটাশ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার। ২০ কেজি অ্যামোনিয়াম সালফেট, ২০ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট এবং ৭ কেজি মিউরেট অব পটাশ এর মিশ্রণ থেকে প্রতি মাদায় ৫০০ গ্রাম করে মূলসার হিসাবে দিতে হবে। ফুল আসার আগে বাকী ১০০ কেজি অ্যামোনিয়াম সালফেট চাপান হিসাবে প্রয়োগ করতে হবে।

অন্তরণ দূরত্ব–আধারীয় (ফাউন্ডেশান) বীজের ক্ষেত্রে ১,০০০ মিটার এবং শংসিত (সার্টিফায়েড) বীজের ক্ষেত্রে ৫০০ মিটার। সেচ–৮-১০ দিন অন্তর সেচ দিতে হবে। বর্ষার সময় গাছে অবলম্বন বা খুঁটি দিতে হবে।

অবাঞ্চিত গাছ বাছাইকরণ (Roguing)—অন্য জাতের শসা হোক বা কোন আগাছা হোক কিংবা রোগাক্রান্ত ও পোকার দ্বারা আক্রান্ত গাছ হোক, দেখার সঙ্গে সঙ্গে তা তুলে ফেলে দিতে হবে। অন্ততঃ ৩ বার এই বাছাই এর কাজ করতে হবে—ফুল আসার আগে, ফুল ফল ধরার সময়, ফল তোলার সময়।

রোগ-পোকা নিয়ন্ত্রণ–পোকার মধ্যে ফলের মাছি, জাব পোকা, লাল কেড়িপোকা, কাটুই পোকার আক্রমণ সাধারণতঃ চোখে পড়ে। সময়মতো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রোগের মধ্যে পাউডারী মিলডিউ, ডাউনি মিলডিউ, মোজেইক বা সাহেব রোগ, পাতায় দাগ প্রভৃতি সাধারণভাবে চোখে পড়ে। প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে অন্যান্য ফসলের মতো একই নিয়মে।

ফল তোলা ও বীজ সংগ্রহ—পরিণত হয়ে ফ্যাকাসে হলুদ কিংবা সোনালী রং ধরলে ফলগুলি তুলে এনে, লম্বালম্বিভাবে কেটে দু-ভাগ করা হয়। এরপর ছুরির সাহায্যে চেঁছে বীজগুলি বের করা হয়।

বীজের ফলন—১৫-২০কেজি প্রতি বিঘায়।